স্কেলিং নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা
স্কেলিং নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা
ডেন্টাল স্কেলিং একটি চিকিৎসাপদ্ধতি, যার মাধ্যমে দাঁতের উপরিভাগ এবং মাড়ির ওপর ও ভেতরে জমে থাকা ‘ডেন্টাল প্লাক’ বা ‘দন্তপাথুরি’ পরিষ্কার করা হয়। ডেন্টাল প্লাকে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়াগুলো ‘মাড়ির প্রদাহ’ বা ‘জিনজিভাইটিস’ তৈরি করে থাকে। এই প্লাকগুলো ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখের স্যালাইভা বা থুথুর সঙ্গে ক্যালসিয়ামের মাধ্যমে দন্তপাথুরি তৈরি করে থাকে। এই দন্তপাথুরির গায়ে অধিক মাত্রায় ডেন্টাল প্লাক জমে মাড়ির প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়।
ফলে দাঁত নড়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্কেলিং সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো হচ্ছে—
♦ স্কেলিং করলে দাঁত শিরশির করে।
♦ স্কেলিং করলে দাঁত নড়ে যায়।
♦ স্কেলিং করলে দাঁত ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়।
♦ স্কেলিং করলে দাঁতে এনামেল উঠে যায়। এনামেলের ক্ষতি হয়।
♦ স্কেলিং করার সময় দাঁত ব্যথা হয়।
♦ মুখ দিয়ে রক্ত পড়লে দাঁত ব্রাশ করা
♦ স্কেলিং করলে দাঁতে এনামেল উঠে যায়। এনামেলের ক্ষতি হয়।
♦ স্কেলিং করার সময় দাঁত ব্যথা হয়।
♦ মুখ দিয়ে রক্ত পড়লে দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়।
প্রচলিত ধারণা : স্কেলিং করলে দাঁত শিরশির করে।
বাস্তবতা : এটি সত্য। স্কেলিং করার পর দন্তপাথুরি পড়ে যাওয়ার কারণে দাঁত কিছুদিন শিরশির করে। কারণ দীর্ঘদিন পর দাঁতগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। এটি সাধারণত সাত দিনের মধ্যেই চলে যায়।
এ জন্য চিকিৎসকরা মাড়ির চিকিৎসার জন্য গাম অ্যাস্ট্রিনজেন্ট সাত দিন থেকে ১৫ দিনের জন্য দিয়ে থাকেন।
প্রচলিত ধারণা : দাঁত স্কেলিং করলে দাঁত নড়ে যায়।
বাস্তবতা : এই ধারণা বাস্তবতার উল্টো দিক, যে দন্তপাথুরিগুলো দীর্ঘদিন দাঁতের গায়ে লেগে থাকে তথা সাধারণত ক্যালসিফায়েড আবরণ তৈরি করে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থানে লেগে থাকে। যখন স্কেলিং করা হয়, যেন ওই ডিপোজিটগুলো চলে যায়। এ কারণে রোগীদের মনে হয় দাঁত নড়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, মাড়িতে ক্ষতি হয়ে দাঁত এমনিতেই নড়ে গিয়েছিল। শুধু দন্তপাথুরির কারণে দাঁতের নড়া বোঝা যায়নি। কিন্তু স্কেলিং করার পর দাঁতগুলো আবার মাড়ি দ্বারা পুনঃসংযোজিত হবে এবং দাঁত শক্ত হয়ে যাবে।
প্রচলিত ধারণা : স্কেলিং করলে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা হয়ে যায়।
বাস্তবতা : দাঁতের যত্ন সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে না করলে মাড়ির রোগ বা পায়োরিয়া হয়। এই পায়োরিয়ার কারণে দাঁতের মাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতের মধ্যে ফাঁকা তৈরি হয়। সাধারণত এটি দন্তপাথুরির কারণে হয়ে থাকে। এই ফাঁকা সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে। পাথর পরিষ্কার করলে ফাঁকা বন্ধ হয়ে যাবে যদি না অন্য কোনো সমস্যা থেকে থাকে।
প্রচলিত ধারণা : দাঁত স্কেলিং করলে দাঁতের এনামেল উঠে বা সরে যায় (দাঁতের উপরিভাগ)।
বাস্তবতা : দাঁতের স্কেলিং করার সময় দাঁত অবশ করার জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। স্কেলিং যদি আলট্রাসনিক স্ক্যানার দ্বারা করা হয়, তখন মেকানিক্যাল ভাইব্রেশন হয়। এতে দাঁতের উপরিভাগে লেগে থাকা দন্তপাথুরিগুলোই শুধু চলে যায়, দাঁতের গঠনগত কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রচলিত ধারণা : দাঁতের স্কেলিং একটি যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি।
বাস্তবতা : বর্তমানে প্রযুক্তিগত অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে দাঁতের স্কেলিং পদ্ধতিতে। যদি একজন দক্ষ দন্ত চিকিৎসক দিয়ে দাঁতের স্কেলিং করা হয়, তাহলে দাঁতে যন্ত্রণা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রচলিত ধারণা : মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়।
বাস্তবতা : রক্ত পড়া হচ্ছে মাড়ির রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। অর্থাৎ জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহের প্রথম উপসর্গ। দন্তপাথুরি ও প্লাক যত বেশি দাঁতের গায়ে জমতে থাকবে, মাড়ি দিয়ে তত বেশি রক্ত পড়তে থাকবে। কিন্তু ব্রাশ করা বন্ধ করলে আরো বেশি রক্ত পড়বে মাড়ি দিয়ে। প্রকারান্তরে মাড়িতে পকেট তৈরি হয়ে দাঁত নড়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
__________________
ওরো ডেন্টাল এইড
📞 এপোয়েন্টমেন্ট এর জন্য কল করুন 09697376166 , 018 237 51966
📍আমাদের ঠিকানা:
৮২০/১ (দ্বিতীয় তলা ) পশ্চিম শেওড়াপাড়া ,মেট্রোরেল স্টেশন (৩১২-৩১৩ নং পিলারের পশ্চিমদিকের মাঝের গলি ),বাটা শোরুম ও মক্কা টাওয়ার এর পাশে, টেকনিক টিচিং হোমের বিপরীতে ,মিরপুর ,ঢাকা-১২১৬।
গুগল ম্যাপ লোকেশন
https://maps.app.goo.gl/e52pEJQHqTaZSjfr9?g_st=ic
No comments